Class 10 Geography Chepter 1- নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ;
বহুবিকল্পভিত্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
1. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল
আমাজন
2. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী
Ans: নীল
3. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতটি হল —
Ans: সাল্টো এঞ্জেল
4. পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন —
Ans: গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
5. ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত
Ans: যোগ
6. নিউ মুর দ্বীপটি যে নদীর মোহানায় অবস্থিত-
Ans: হাড়িয়াভাঙা
7. পৃথিবীর বৃহত্তম নদীগঠিত দ্বীপ —
Ans: ইলহা দ্য মারাজো
8. অপেক্ষাকৃত কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে বলে
Ans: র্যাপিড
9. একটি কাসপেট বদ্বীপের উদাহরণ
Ans:- তাইবার নদীর বদ্বীপ
10. পলল শঙ্কু বা পলল ব্যজনী গড়ে ওঠে নদীর —
Ans: পর্বতের পাদদেশে
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
· নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে।
· নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে মিয়েন্ডার বলে।
· নদী মোহানা খুব প্রশস্ত হলে তাকে খাঁড়ি বলে।
· গাঙ্গেয় বদ্বীপের আকৃতি ধনুকের মতো
· সেন্ট লরেন্স নদীর গতিপথে বিখ্যাত জলপ্রপাতটি হল — নায়াগ্রা.
· আমাজন নদী পৃথিবীর সর্বাধিক জল বহন করে।
· জলপ্রপাতের নীচে সৃষ্ট গর্তকে-প্লাঞ্জপুল বলা হয়।
· নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ইংরেজি ‘V’ আকৃতির উপত্যকাকে — গিরিখাত বলে।
· নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ইংরেজি ‘I’ আকৃতির উপত্যকাকে ক্যানিয়ন বলে।
· মাজুলি- ভারতের বৃহত্তম নদীগঠিত চড় বা দ্বীপ।
স্তম্ভ মেলাও:
বামস্তম্ভ
ডানস্তম্ভ
1. পক্ষীপাদ বদ্বীপ
a) তাইবার
2. কাসপেট বদ্বীপ
b) নীল
3. খাঁড়িয় বদ্বীপ
c) মিসিসিপি
4. ধনুকাকৃতির বদ্বীপ
d) কাস্পিয়ান সাগর
5. হ্রদ বদ্বীপ
e) ওব
Answer: 1=C, 2=A , 3=E , 4= B, 5= D
দু-এক কথায় উত্তর দাও:
1. পৃথিবীর সুদৃশ্যতম জলপ্রপাতের নাম কী?
উত্তর: নায়াগ্রা।
2. পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ কোন্টি?
উত্তর: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ।
3. একটি পাখির পায়ের মতো বদ্বীপের নাম করো?
উত্তর: মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ।
4. একটি ধনুকাকৃতির বদ্বীপের নাম করো?
উত্তর: নীলনদের বদ্বীপ।
5. একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর: গঙ্গা।
6. দুটি নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমিকে কী বলে?
উত্তর: জলবিভাজিকা।
7. দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগকে কী বলে?
উত্তর: দোয়াব।
8. নদীর জলের উচ্চতার হ্রাসবৃদ্ধিকে কী বলে?
উত্তর: নদীবর্তন।
9. কোন্ নদীর মোহানায় পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি দেখা যায়?
উত্তর: ওব নদীর মোহানায়।
10. নদীর ক্ষয়কার্যের শেষসীমা কী?
উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
1. গিরিখাত কী?
উত্তর: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি ই থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচে থামতে থাকে এবং ক্ষয় ক্ষমতাও অধিক হয়। এইসময় নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে অধিক নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয়ের দ্বারা নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয় এবং ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো গভীর খাতের সৃষ্টি হয়। একে গিরিখাত বা গিরিসংকট বলে। পেরু রাষ্ট্রের কল্কা নদীর এল ক্যানন দ্য কলকা পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত।
2. ক্যানিয়ন কী?
উত্তর: শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে নদীর পার্শ্বক্ষয় একেবারেই হয় না বলে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের দ্বারা শিলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি আরও গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি করে। এই ইংরেজি “I” অক্ষরের মতো গভীর গিরিখাতকে এবং ক্যানিয়ন বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বল নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন।
3. পলল শঙ্কু কী?
উত্তর: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে নদী যখন সমভূমিতে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় এবং নদীর বহনক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে পর্বতের পাদদেশ নদীবাহিত নানা আকৃতির নুড়ি, বালি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে ত্রিকোণাকার হাতপাখার মতো ভূভাগ গঠন করে, তাকে পলল ন্য শঙ্কু বা পলল পাখা বলে ।
4. মন্থকূপ কী?
5. মিয়েন্ডার কি?
উত্তর: নদী যখন সমভূমি অঞ্চলে প্রবেশ করে তখন ভূমির ঢাল কম বলে নদীর স্রোতের বেগ কমে যায়। তখন নদীর গতিপথে কোনো বাধা বা কঠিন শিলাস্তর অবস্থান করলে তাকে এড়িয়ে নদী আঁকাবাঁকা পথে অতি মন্থর গতিতে প্রবাহিত হয়। সমভূমি প্রবাহে নদীর এই আঁকাবাঁকা গতিপথকে নদী বাঁক বা মিয়েন্ডার (তুরস্কের মিয়েন্ড্রাস নদীর নামানুসারে) বলে।
6. . খাঁড়ি কী?
উত্তরঃ নদী মোহানা খুব প্রশস্ত বা ফানেলাকৃতির হলে, তাকে খাঁড়ি বলে। সাধারণত নদী মোহানায় বিপরীত দিক থেকে আসা প্রবল জোয়ারের লবণাক্ত জল নদীতে ঢুকে পড়ে এবং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে ফানেলাকৃতির যে নালা বা নদীখাতের সৃষ্টি করে, তাকে খাঁড়ি বলে। ওব নদীর মোহানায় গঠিত খাঁড়িটি পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি।
7. প্লাবনভূমি কী?
উত্তর: বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে যায় ও দু’কূল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। নদী উপত্যকার নীচু জমিতে বন্যার জল ঢুকে পড়ে ও পরে বন্যার জল সরে গেলে সেখানে নদীবাহিত পলি পড়ে থাকে। এভাবে বন্যার ফলে বছরের পর বছর পলি সঞ্চিত হয়ে যে নতুন ভূভাগ গঠন করে, তাকে প্লাবনভূমি বলে।
8. স্বাভাবিক বাঁধ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: নদীর নিম্নগতিপথে দুই তীর বরাবর নদীবাহিত পলি ক্রমাগত সঞ্চিত হয়ে যে অনেকটা উঁচু বাঁধের মতো ভূমিরূপ গঠন করে, স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি বলা হয়।
9. নদীমঞ্চ কী?
উত্তর: নদী যখন ঊর্ধ্বগতিপথের শেষভাগে এবং মধ্যগতিপথের প্রথমভাগে প্রবেশ করে তখন নদীর গতিবেগ কমে যায়। এই স্থানে নদীবাহিত নুড়ি, বালি, কাঁকড় প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে, অসমান ধাপের সৃষ্টি করে, নদী উপত্যকায় গঠিত এ ধরনের বিস্তীর্ণ সিঁড়ির মতো ধাপকে নদীমঞ্চ বলে।
10. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: নিম্নপ্রবাহে দুটি নদীবাঁক পরস্পরের নিকটবর্তী হলে নদী পুরোনো খাত ছেড়ে নতুন খাতে প্রবাহিত হয়। পুরোনো খাতটি ঘোড়ার ক্ষুরের মতো দেখতে হয় বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।
11. নদীগ্রাস কী?
উত্তর: কোনো জলবিভাজিকার দুই ঢাল থেকে উৎপন্ন পরবর্তী নদী দু’পাশের অনুগামী নদীতে এসে মিলিত হলে যে পরবর্তী নদীটি বেশি শক্তিশালী সেটি মস্তকের দিকে দ্রুত ক্ষয় করে। এইভাবে জলবিভাজিকার অন্যদিকে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত দুর্বল পরবর্তী নদীর মধ্য দিয়ে অন্য অনুগামী নদীটিকে যখন শক্তিশালী নদীটি অধিগ্রহণ বা গ্রাস করে, তাকে নদীগ্রাস বলে।
12. নিক পয়েন্ট কী?
উত্তর: ভূ-আলোড়নের ফলে নদীপথের উত্থান হয়ে অথবা সমুদ্র দূরে সরে যাওয়ায় নদীর পুনর্যৌবন লাভ ঘটে। এক্ষেত্রে নদী পুনরায় একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিপথ সৃষ্টির জন্য একটি নতুন নদীখাতের সৃষ্টি করে। নদীর এই নতুন খাতটি যেখানে পুরোনো নদীখাতের সঙ্গে মিলিত হয়, অর্থাৎ যে বিন্দুতে পুরোনো ও নতুন ঢালের সংযোগ ঘটে, সেই বিন্দুকে নিক বিন্দু বা নিক পয়েন্ট বলে। ভূপ্রকৃতিগত পার্থক্যের কারণে এই স্থানে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।
উত্তর: সাধারণত যে নদীর ঊর্ধ্ব বা পার্বত্য প্রবাহ, মধ্য বা সমভূমি প্রবাহ ও নিম্ন বা বদ্বীপ প্রবাহ — এই তিনটি প্রবাহই সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে আদর্শ নদী বলে। যেমন: ভারতের গঙ্গা একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ।
14. ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী?
উত্তর: নদীর গতিবেগ বৃদ্ধিজনিত কারণে নদীর বহনক্ষমতা সেই অনুপাতে বেড়ে যায়। সাধারণভাবে নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে তার বহনক্ষমতা 26 গুণ অর্থাৎ 64 গুণ বেড়ে যায়। নদীর গতিবেগ ও বহনক্ষমতা বৃদ্ধির এই সূত্রকে ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলা হয়।
15. জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক করে রাখে, তাকে জলবিভাজিকা বলে। সাধারণত ভূপৃষ্ঠের পর্বত ও মালভূমিগুলি জলবিভাজিকা হিসেবে ভূপৃষ্ঠে বিরাজ করে। যেমন — এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল বা উচ্চভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম জলবিভাজিকা।
16. ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?
উত্তর: নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে উৎস অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিভিন্ন জলধারা যখন প্রধান নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মূল নদীর জলধারা বৃদ্ধি করে, তখন নদীর সেই উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে। এটি সাধারণত নদীর ঊর্ধ্ব প্রবাহে দেখা যায়।
17. নদী অববাহিকা কাকে বলে?
উত্তর: সাধারণত প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখানদী নিয়ে যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে। এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত অন্যান্য উপনদী ও শাখানদীর বাহিত জল, ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের ধুয়ে আসা জল এবং বৃষ্টি ও বরফগলা জল বহন করে যে অঞ্চল, সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী অববাহিকা হল পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা।
20. পর্যায়িত নদী কী?
উত্তর: নদী তার গতিপথে ক্ষয়, বহন অবক্ষেপণ কাজের মাধ্যমে সবরকমের অসঙ্গতি দূর করে শেষ পর্যন্ত পরিণত পর্যায়ে একটি সঙ্গতি বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ঢাল সৃষ্টি করে। নদীর এই ঢালকে পর্যায়িত ঢাল এবং এই ঢালে প্রবাহিত নদীকে পর্যায়িত নদী বলে।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
1. গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
গিরিখাত
ক্যানিয়ন
1. উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি ই থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচে থামতে থাকে এবং ক্ষয় ক্ষমতাও অধিক হয়। এইসময় নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে অধিক নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয়ের দ্বারা নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয় এবং ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো গভীর খাতের সৃষ্টি হয়। একে গিরিখাত বা গিরিসংকট বলে।
1) শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে নদীর পার্শ্বক্ষয় একেবারেই হয় না বলে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের দ্বারা শিলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি আরও গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি করে। এই ইংরেজি “I” অক্ষরের মতো গভীর গিরিখাতকে এবং ক্যানিয়ন বলে।